যতদিন রবে পদ্মা-যমুনা গৌরী-মেঘনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার, শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান
তবু নাই ভয়, হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।
অমর এই কবিতাটির জন্মকাহিনি বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, “একাত্তর সালের মাঝামাঝি একদিন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এসে বললেন, ‘খবর পাওয়া যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলখানায় হত্যা করবে। আমরা গড়ের মাঠে প্রতিবাদ সভা ডেকেছি। অপনাকেও যেতে হবে।’ নির্দিষ্ট দিন গড়ের মাঠে গিয়ে দেখি লোকের ভিড়ে প্রবেশপথ বন্ধ। বাড়ি ফিরে আসি। অগত্যা আমার বক্তব্যকে কবিতায় রূপ দেই।…..আমি যখন এ কবিতাটি লিখি তখন আমার আশঙ্কা ছিল যে, শেখ সাহেব পাকিস্তানি জল্লাদদের দ্বারা নিহত হবেন।” অন্নদাশঙ্কর রায়ের বক্তব্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের মনোভাব এবং সাধারণের আগ্রহের একটা চিত্র ফুটে ওঠে। প্রতিটি কবিতার এমনি জন্মকথা আছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইতোমধ্যেই কয়েক সহস্র কবিতা লেখা হয়েছে। এসব কবিতার কোনো কোনোটি নিজেই একটি মহাকাব্যের শক্তি ধরে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস